বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

আজ নান্দাইল মুক্ত দিবস

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ ১১ ডিসেম্বর নান্দাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের ১১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পাকিস্তানের হানাদার ও রাজাকার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা গোপনে বৈঠক করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। ১৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারটি দলে ভাগ হয়ে নান্দাইল থানা ঘিরে ফেলেন।

কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের পরিকল্পনা আগে থেকেই জেনে যায়। পরে পাকিস্তানি সেনারা সদস্য বাড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের মিশন সেদিন ব্যর্থ হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সাড়ে ৪ ঘণ্টার সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে ২৪ জন শহীদ হন। অভিযানে ব্যর্থতার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহনেওয়াজ ভূঁইয়াসহ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের গুলি করে হত্যা করেন সেনারা। ফলে ওই অভিযানে ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরুতেই পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল কমতে থাকে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা নতুন করে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। ১০ ডিসেম্বর রাতে নান্দাইলে মুজিববাহিনীর সদস্য ন ম ম ফারুকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা নান্দাইল থানা তিনদিক ঘিরে ফেলেন।

আত্মসমর্পণ না করলে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করার ঘোষণা দেন। এতে পাকিস্তান বাহিনীসহ রাজাকার ও আলবদরের একটি দল ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। একই সময় সুবেদার তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। ১১ ডিসেম্বর ২টার দিকে নান্দাইলে প্রথম বিজয়সূচক স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।ভোর হতেই জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় নান্দাইল।এভাবেই হানাদার মুক্ত হয় নান্দাইল থানা।

এ উপলক্ষে বুধবার নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

আরবি/ এইচএম

Link copied!