চলছে পৌষ মাস। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে ইতোমধ্যেই জবুথবু হয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলার মানুষ। উত্তরাঞ্চলের শীতের প্রকোপ তো রয়েছেই সেই সঙ্গে এবার দক্ষিণাঞ্চলেও বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। আর এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ ক্রমাগত বাড়ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, ভোরে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার পর পরই সূর্যের দেখা মিলছে। তবে দিনের শেষ থেকেই আবারও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি। জেলায় বিকেলের পর থেকে হালকা কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এতে সকালে কাজে বের হওয়া দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দুর্ভোগ বেড়েছে রিকশা, ভ্যান চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষের।
তাপমাত্রা কমে গিয়ে আবারও শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে দেখা মিলেছে সূর্যের।
এছাড়া নাটোরেও কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। সেই সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষজন। পেট চালাতে কাজে বের হলেও কাজ পাচ্ছে না অধিকাংশ শ্রমজীবি মানুষ। অন্যান্য সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে তাদের আয়।
আপনার মতামত লিখুন :