শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম

রাজশাহীতে বড়দিন উদযাপন, দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম

রাজশাহীতে বড়দিন উদযাপন, দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশ ও জাতির সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনার মধ্যে দিয়ে বুধবার রাজশাহীতে খ্রীষ্টান ধর্মাবলাম্বীদের বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে এ দিন রাজশাহীর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বেথলেহেমের সেই আবহ সৃষ্টি করতে তাদের বাড়িতে তৈরি করেন প্রতীকী গোশালা।

বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে মহানগরের গির্জাগুলোতে নানান আনুষ্ঠানিকতা ও বিশেষ প্রার্থনার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টায় ও ৯টায় ‘শীত মাঝে এলো বড়দিন, এলো বুঝি ওই ফিরে’ গানের সুরে সুরে রাজশাহীর উত্তম মেষ পালক ক্যাথিড্রাল গির্জায় বিশেষ খ্রীষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী মহানগরের বাগানপাড়া এলাকায় এই গির্জার প্রবেশমুখ থেকে নানান রঙের আল্পনা করা হয়। সুসজ্জিত ক্রিসমাস ট্রিও আলোকসজ্জা করা হয়। যিশুর জন্মের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয় কৃত্রিম গোশালায়। বড়দিনের প্রার্থনায় গীর্জায় গীর্জায় দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে কীর্তনের পাশাপাশি কেক কাটার আয়োজন করা হয়।

‘বড়দিন মানেই অনাবিল শান্তি, বড়দিন মানে সকলকে নিয়ে বড় হবো। যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমাদের কথা কাজ ও আচরণে যেন তার সব কিছু প্রকাশ পায়’ গীর্জায় গিয়ে বললেন ভিকার জেনারেল ফাদার ফবিয়ান মারান্ডি।

আরেকজন খ্রীষ্টভক্ত প্রশান্ত মিনজ বললেন, ‘আমার কাছে বড়দিন মনে প্রেম, ভালোবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতি। একই বাড়ে গেট টুগেদারের মত। কারণ সারাবছর নানা কাজে বাইরে থাকি। তবে বড়দিন আসলে আমরা নিজ বাসায় আসি এবং সবার দেখা পাই। সত্যি এটি আনন্দের একটি বিষয়।’

রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের বিশপ জের্ভার রোজারিও বলেন, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ২৬টি এবং রাজশাহী মহানগরে ৩টি চার্চে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। রোগমুক্ত থেকে দেশের সকল মানুষ যেন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নতি করতে পারে, মানুষের মঙ্গল করতে পারে এবং দেশের মধ্যে যেন পারস্পারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায় সেই কামনা করা হয় প্রার্থনায়।

গত তিন বছরের তুলনায় এবার বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্য কিছুটা বেশি। গির্জা প্রার্থনা শেষে কীর্তনের পাশাপাশি কেক কাটার আয়োজপন করা হয়। প্রার্থনায় সকল প্রকার রোগমুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে। একই সাথে দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে কেক কাটার আয়োজনসহ রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন করে থাকে।

রাজশাহীর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে গীর্জাগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সবাই আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করেছেন। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আরবি/জেডআর

Link copied!