কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল প্রবাস ফেরৎ সোহেল মিয়া। তিনি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের প্রযুক্তির ব্যবহারে মালচিং পদ্ধতিতে ৫২ শতাংশ জমিতে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন।
তিনি আশা করেন সকল খরচ মিটিয়ে অন্তত চার থেকে পাঁচগুন লাভবান হবে। মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখে পার্শ্ববর্তী এলাকার বেকার যুবকেরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে। সোহেল মিয়া কটিয়াদী পৌর সভার চরিয়াকোনা মহল্লার মৃত কাঞ্চন মিয়ার ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কটিয়াদী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ৫২ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে এক সাথে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন সোহেল মিয়া। তিনি গত অক্টোবরের প্রথম দিকে জমিতে চারা রোপণ করেন। ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ফলন আসা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি খিড়া বিক্রি শুরু করেছেন। মালচিং পদ্ধতিতে ৫২ শতক জমিতে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলিয়ে ৫০-৫৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারদর ভালো থাকায় খরচ মিটিয়ে তিনি অন্তত ৪-৫ গুন লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, সবজি চাষের জন্য এখানকার মাটি খুবই উপযোগী। শীতকালীন শাক-সবজির মধ্যে এখানে প্রচুর পরিমাণে খিড়া, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, আলু, টমেটো, মুলা, লাউসহ বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়। এ বছর উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়নে ১০০ হেক্টর জমিতে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া আবাদ হয়েছে।
পৌর সভার চরিয়াকোনা মহল্লার প্রবাস ফেরৎ কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, আমি বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে বেকার হয়ে পড়ি। পরে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মইনুল ইসলামের পরামর্শে আমি ৫২ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো এক সাথে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। সবমিলে খরচ হয়েছে ৫০-৫৫ হাজার টাকার মতো। খিড়া বিক্রি করেই আমার খরচ মিটিয়ে যাবে। মিষ্টি কুমড়াতে অন্তত চারগুণ লাভ হবে।
সোহেলের চাচা মজনু মিয়া বলেন, একসাথে দুইটি সবজি আবাদ দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এক সাথে দুই প্রকারের সবজি চাষ এর আগে দেখিনি। আগামীতে আমিও এইভাবে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করবো।
পৌর সভা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জানান, চরিয়াকোনা মহল্লার কৃষক সোহেল মিয়াকে রাসায়নিকের পরিবর্তে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার করে মালচিং পদ্ধতিতে এক সাথে দুইটি সবজি খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষের পরামর্শ দিয়েছি। ৫২ শতক জমিতে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে প্রায় ৫৫ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকার মত খিড়া বিক্রি করেছে। জমিতে যে পরিমাণ খিড়া রয়েছে খরচ মিটিয়ে কিছু লাভ থাকবে। মিষ্টি কুমড়া থেকে ২-৩ লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে মনে করি।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম ভুঞা জানান, উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে খিড়া ও মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। খিড়া মূলত স্বল্পকালীন ফসল ৩০-৩৫ দিনেই ফলন দেয়। কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত সবজি চাষের জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251031233315.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031164732.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন