কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছে বিলাসবহুল সি-ট্রাক (ফেরি) সার্ভিস। সেই সাথে মহেশখালী ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে পল্টুন।
দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিউটিএ এর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সি-ট্রাকটি এই নৌরুটে আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চলাচল করবে। এতে চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা না দিলে পরদিন (২৫ এপ্রিল) থেকে বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে।
পরীক্ষামূলক সি-ট্রাক চালুর মধ্যদিয়ে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে যাতায়াত ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো আজ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্যোগে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো ২৫০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার একটি সি-ট্রাক।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার নুনিয়ার ছটা বিআইডব্লিউটিএ এর ঘাটে ফিতা কেটে সি-ট্রাক সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটএ) । এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির এনসিপি`র যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন ।
দুপুর সাড়ে ১২টার সময় কক্সবাজার ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান সি-ট্রাকটি। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় মহেশখালী ঘাটে স্থাপিত পল্টুনে পৌছালে সেখানে অপেক্ষমান স্থানীয় জনতা যাত্রীদের অভিবাদন জানান। পৌনে ২টার সময় ছেড়ে সি-ট্রাকটি কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পৌছে বেলা আড়াই টায়।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ৫ লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নৌ ঘাটে ও নৌ পথে হয়রানীর শিকার হয়ে আসছিল। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ থেকে রক্ষা পেতে রোগী নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের বসার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি একটি পল্টুন। এছাড়া নিরাপদ যাতায়তে সি-ট্রাক চালুর। অবশেষে জনগণের প্রত্যাশা পূরন হওয়ায় খুশি দ্বীপবাসী।
বন্দর ও পরিবহন বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে চালু হওয়া সি-ট্রাকটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২৫০ জন।
সি-ট্রাকে যাতায়াতে জনপ্রতি ভাড়া কত হবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। পরীক্ষামূলক যাত্রায় সফল হওয়ায় খুব শিগগিরই এ নৌপথে সি-ট্রাকটি স্থায়ী করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ফেরি যুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, কক্সবাজারকে নদী বন্দর ঘোষণা করেছে। সে হিসেবে বিআইডব্লিউটিএ এর কাজের পরিধি বেড়েছে। এ সি-ট্রাক চালুর মধ্য দিয়ে বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছর ঝুঁকিহীন যাতায়াত নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কমবে দ্বীপের বাসিন্দাদের যাতায়াত খরচও।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন