বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

ঝিনাইদহে রাস্তায় বেড়া দিলেন জামাই-শাশুড়ি, বিপদে দেড় হাজার কৃষক

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

ঝিনাইদহে রাস্তায় বেড়া দিলেন জামাই-শাশুড়ি, বিপদে দেড় হাজার কৃষক

দুই গ্রামের শতাধিক কৃষক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে দেড় হাজার কৃষককে ভোগান্তিতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এসব কৃষক তাদের আবাদি জমিতে যেতে পারছেন না। এতে চলতি মৌসুমের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ধান বাড়িতে আনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের রাস্তা নিজেদের দাবি করে গত বুধবার ওই গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও তার জামাতা আক্তারুল ইসলাম বেড়া দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৯ এপ্রিল) সুবিদপুর ও মোল্লাকুয়া গ্রামের শতাধিক কৃষক বাঁশের বেড়ার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

জানা গেছে, ৪০ বছর আগে সুবিদপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলী মণ্ডলের পরিবার মাঠ থেকে কৃষকদের ফসল আনার সুবিধার্থে দুই শতক জমি রাস্তার জন্য দান করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে জরিপে ‘ভুলবশত’ ইসহাক আলী মণ্ডলের নামে ওই জমি রেকর্ড হয়ে যায়। ওই জমির মালিকানা দাবি করে গত বুধবার ইসহাক আলীর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও তার জামাতা আক্তারুল ইসলাম বাঁশের বেড়া দেন।

সুবিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ফাহিমা খাতুন ও তার জামাতা আক্তারুল রাস্তায় বেড়া দেন। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কেটে বাড়িতে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে ফাহিমা খাতুনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে মুক্তি বেগম ফোন ধরেন।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ আমিন এনে রাস্তা মেপেছে। এ সময় গ্রামের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাপের পর জায়গাটি যে আমাদের, তা নিশ্চিত হয়েই সেখানে বেড়া দিয়েছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম উদ্দীন বলেন, ‘গ্রামবাসীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ফাহিমা খাতুন তার জমিতে বেড়া দিয়েছে। এখন কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করছে। রাজনৈতিক সমস্যায় এমনটি হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছি। ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের সহায়তায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেব। 

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জেনে ওই গ্রামের লোকজনকে খবর পাঠিয়েছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

Link copied!