বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম

নেত্রকোনায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম

নেত্রকোনায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

আটক তিন যুবক। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কিশোরীকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে ইমো অ্যাপে এক কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় আজিজুল ইসলাম নামের এক যুবকের। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

পরে বিয়ের প্রলোভনে গত ১৬ এপ্রিল রাতে মেয়েটিকে মোহনগঞ্জ শহরের আলোকদিয়া সেতুর কাছে ডেকে নেন আজিজুল। সেখান থেকে আজিজুল ও তার বন্ধু রফিক কিশোরীকে মোটরসাইকেলে করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাবী গ্রামের পাশে একটি হাওরে নিয়ে যান।

হাওরে নিয়ে প্রথমে আজিজুল, পরে তার বন্ধু রফিক ও সাকিব মিলে পর্যায়ক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় তারা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন।

ধর্ষণ শেষে অভিযুক্তরা কিশোরীকে ভোররাতে তার বাড়ির সামনে ফেলে যায় এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দেয়।

ভয়ে প্রথমে চুপ থাকলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে কিশোরী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে তার বড় ভাই মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে মোহনগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। 

অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্মপাশার নিজগাবী গ্রাম থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, আজিজুল ইসলাম (১৮), রফিক মিয়া (২৪) ও সাকিব মিয়া (২৬)। তারা সবাই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাবী গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় রাজমিস্ত্রী।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তাররা ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে প্রথমে আজিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কৌশলে তাকে দিয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করিয়ে বাকি দুই জনকেও নির্দিষ্ট স্থানে এনে গ্রেপ্তার করা হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!