সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

মতলবে নদীভাঙনে হুমকির মুখে শতাধিক বাড়িঘর-স্থাপনা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

মতলবে নদীভাঙনে হুমকির মুখে শতাধিক বাড়িঘর-স্থাপনা

চাঁদপুর মতলব উত্তরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর ভাঙন। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর ভাঙনে শতাধিক স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে এসব স্থাপনা।

এ নিয়ে আতঙ্কে দিনযাপন করছেন উপজেলার সুলতানাবাদ চরলক্ষীপুর গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

এরই মধ্যে নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা।

বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে গ্রামের একমাত্র চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া মাদ্রাসা ও মাজার বিলীন হওয়ার পথে।

কথা হলে স্থানীয়রা জানান, ১৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে ধনাগোদা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চরলক্ষীপুরের কয়েক শ একর ফসলি জমি।

নদীবেষ্টিত চরলক্ষীপুরের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নদীভাঙনের কারণে এখানকার কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।

দ্রুত সময়ে গ্রামবাসীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষার দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় সেলিম প্রধান ও কামরুজ্জামান রিপন বলেন, দীর্ঘদিন নদীভাঙনের শিকার হচ্ছি। গত তিন মাস ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। অনেক ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বসতভিটা নিয়ে আতঙ্কে দিনযাপন করছি।

তারা আরও বলেন, জমি-জমায় ফসল আবাদ করে আমাদের সংসার চলে। সেই ফসলি জমিটুকুও নদীতে বিলীন হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এ অবস্থায় সরকার যদি আমাদের বসতভিটাটুকু রক্ষা করার ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে মাথা গোঁজার মতো একটু ঠাঁই হবে। এখানকার মানুষের শহরে বা অন্য কোথাও গিয়ে জমি কিনে বাস করার সামর্থ্য নেই।
 
সুলতানাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী প্রধান বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংসদ সদস্য ছিলেন। ওনাকে একাধিকবার বলার পরও উনি শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু নদীভাঙন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এভাবে ভাঙতে থাকলে গ্রামটি বিলিন হয়ে যাবে।

চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি এ এইচ এম জামাল সাকিব বলেন, পুরো গ্রামের শিশুদের জন্য একটি স্কুল। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে প্রায় স্কুলের কাছে চলে এসেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, নদীভাঙন প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে স্কুল ও গ্রামবাসীকে রক্ষা করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভব এই গ্রাম রক্ষা করুন। নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর মেঘনা ও ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম শাহেদ বলেন, ভাঙনের বিষয়টি আমি জেনেছি। সরেজমিন পরিস্থিতি দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!