সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ২ শ বিঘা বাদামের খেত তলিয়ে গেছে। ফলে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা চরে দেখা যায়, পানিতে নেমেই অপরিপক্ব বাদাম তুলছেন চাষিরা। এসব বাদাম নদীর পাড়ে পরিবারের অন্য সব সদস্যরা মিলে ছাড়াচ্ছেন। কেউ কেউ জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছেন। এতে কয়েক লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সন্তোষা চরের কয়েকজন বাদাম চাষি জানান, অন্যান্য বছরে বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। তবে এলাকায় পানিতে তলিয়ে বহু জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। এ কারণে কোমর পানিতে নেমে অপরিপক্ব বাদাম তুলতে হচ্ছে চাষিদের।
চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু হুরাইয়া সাদ্দাম বলেন, যমুনার চরাঞ্চলে তলিয়ে যাওয়া জমিগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। অপরিপক্ব বাদাম তুলে বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে।
চৌহালী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ সিফাত বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও বাদাম চাষ করেছিলেন চরের বহু কৃষক। উপজেলার যমুনা নদীর চরে ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকের। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে যায়। এতে দুই শতাধিক হেক্টর জমির প্রায় ১ হাজার ৯০০ মণ বাদাম নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারি সহায়তা এলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিশেষ প্রণোদনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :