ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জিংক ধানের চাষ সম্প্রসারণ ও উৎপাদন প্রযুক্তি এবং বাজারজাতকরণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে শস্য ভেলু চেইন অ্যা রদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রামের রিঅ্যাক্টস-ইন প্রকল্প এ আয়োজন করে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ইসকে আব্দুল্লাহ, রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক, হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শাহিনুল কবির, রিএক্টস-ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মো. আশরাফুল আলম ও ইএসডিও’র পিসি মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, জিংকের অভাবজনিত লক্ষণ ও ঘাটতি পূরণের উপায় তুলে ধরা হয়।
জিংক-সমৃদ্ধ ধান ও গমের জাত এবং তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে আমন মৌসুমে ব্রি ধান ৭২ ও বিনা ধান ২০ এবং বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৭৪, ৮৪, ১০০ ও ১০২-এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এই জাতগুলোর চাষ আরও বাড়াতে রাণীশংকৈলের ধান-চাল ব্যবসায়ী, মিল মালিক, কৃষক নেতা ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
রিএক্টস-ইন প্রকল্পটি কানাডা সরকারের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন, হারভেস্টপ্লাস, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং ম্যাক গ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে অন্যান্য তিনটি দেশের মতো বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ প্রকল্পের হারভেস্টপ্লাসের কার্যক্রম আরডিআরএস বাংলাদেশ ও ইএসডিও’র মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
তারা জানান, হারভেস্টপ্লাস ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ বায়োফর্টিফাইড খাদ্যশস্যেও বিকাশ ও প্রচার করে এবং বায়োফরটিফিকেশন প্রমাণ ও প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করে পুষ্টি এবং জনস্বার্থেরও উন্নতি করে।
হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশে জিংক ধান, জিংক গম এবং জিংক ও আয়রন মসুর ডালের সম্প্রসারণ ও অভিযোজনে কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :