কখনো জেলা প্রশাসক (ডিসি), আবার কখনো পুলিশ সুপার (এসপি) পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাইদুল ইসলাম (৩৩) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
সাইদুল ইসলাম উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি গ্রামের মঈন আলীর ছেলে।
গত বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বরিশালের মেট্রো পলিটন পুলিশের সহায়তায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল নগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে ‘জিনের বাদশা’ সেজে প্রতারণা, বিকাশ প্রতারণা, ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার, এমনকি ২০১৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাও রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা থাকায় বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
পুলিশ জানায়, এসব মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও ২০১৪ সাল থেকে পলাতক ছিলেন সাইদুল।
বর্তমান কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে দীর্ঘ ১১ বছর পর তাকে আটক করতে সক্ষম হন। সাইদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন।
তার সহযোগীদের নিয়ে কখনো জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার সাজতেন। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। নিজেকে বিভিন্ন নামে প্রচার করতেন। কখনো সাইদুল, কখনো সাইদুর, বিপ্লব নামে।
কালীগঞ্জ থানা ওসি সেলিম মালিক বলেন, সাইদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এমন ২ টি মামলায় ১ বছর বিনাশ্রম সাজা হয় তার। তার নামে ঢাকা, শরিয়তপুর, রাজশাহী, গাইবান্ধা, গাজীপুর, শেরপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ৮টি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় ৮টি প্রতারণা মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।