ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মির ও পাঞ্জাব প্রদেশে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে এই হামলা চালানো হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তসংলগ্ন আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা ও হিরানগর এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রাতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে সাইরেন বাজিয়ে ব্ল্যাকআউট করে সতর্ক করা হয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে আকাশে আলোর ঝলকানি ও বিস্ফোরণের দৃশ্য এনডিটিভিকে পাঠিয়েছেন। ভিডিওতে পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় অবস্থায় দেখা যায়।
হামলার পর জম্মু-কাশ্মিরের কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক আংশিক বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর, গুরুদাসপুর ও রাজস্থানের কয়েকটি সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখনও রাজৌরি, রিসি ও আখনুর সীমান্ত এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণ চলছে। স্থানীয়দের দাবি, ভারতের সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরদিনই এই পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান।
এর আগে বুধবার রাতভর পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে অভিযান চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এতে মাত্র ২৫ মিনিটে পাকিস্তানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। পাশাপাশি আরও ডজনখানেক ড্রোন হামলার কথাও জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআর এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি প্রযুক্তির ২৫টি হারোপ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতের ১৫টি শহরে হামলা চালানোর যে দাবি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের এমন নাটকীয় ও ভিত্তিহীন দাবি যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, বরং সিনেমার জন্য উপযুক্ত।’