সাভারের হেমায়েতপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুলিশকে মরদেহ নিয়ে যেতে বলা স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মানিককে (২১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৬ মে) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক মেজর জালিস মাহমুদ খান।
এর আগে সন্ধ্যায় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১৭ মে) বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সাজ্জাদ হোসেন মানিক নওগাঁ জেলা সদরের আক্কাস আলী মোল্লার ছেলে। তিনি হত্যার উদ্দেশ্যে নওগাঁ থেকে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে সাভারে নিয়ে আসেন। নিহত স্ত্রীর নাম রুমানা আক্তার (১৮), তিনি রংপুর জেলার পীরগাছা থানার সোনারায় গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
র্যাব জানায়, রোমানা আক্তারের সঙ্গে সাজ্জাদের মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয়ের পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় গত বছরের ৩০ জুলাই। বিয়ের পর থেকে রোমানা তার স্বামীর সঙ্গে নওগাঁয় তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তবে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর জেরে সাজ্জাদ তার স্ত্রীকে কারণে-অকারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যচার করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার শালিশ দরবার হয়।
তবে গত ১০ এপ্রিল সাজ্জাদ হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে বড় ভাইয়ের ভাড়া বাসা সাভারে বেড়াতে আসেন। রোমানার বাবা জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে রোমানার বাবা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে লাশ উদ্ধার করতে বলে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ।
এ ঘটনায় রোমানার বাবা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আজ র্যাব-৪ ও র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার হয় সাজ্জাদ।
সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার সাজ্জাদ পারিবারিক কলহের জেরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :