পটুয়াখালীতে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় উপকূলীয় জনপদে ভয়াবহ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় বইছে দমকা হাওয়া। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে গলাচিপা উপজেলার পানপট্রি বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন একটি নতুন বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়। একইদিন রাঙ্গাবালী উপজেলার মধ্য চালিতাবুনিয়া ও চরআন্ডা গ্রামের বেড়িবাঁধও ভেঙে পড়লে পুরো চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যায়।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। টানা দুই দফা জোয়ারে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে।
এদিকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের নবনির্মিত ‘সিবিচ সড়ক’ উদ্বোধনের আগেই ঢেউয়ের প্রচণ্ড আঘাতে ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে।
বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া এলাকায় গাছ ভেঙে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে একজনের হাত ভেঙে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, জেলায় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলার আটটি উপজেলায় ৮৪ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবারের জন্য প্রতি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা এবং ঢেউটিন বিতরণের জন্য ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :