মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৯:১১ এএম

ময়লার দুর্গন্ধে বিয়ে ভাঙছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়েদের

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৯:১১ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়ীয়ার ডাম্পিং স্টেশনটিতে ময়লার স্তূপ এখন পাহাড়ে রূপ নিয়েছে।          ছবি- সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়ীয়ার ডাম্পিং স্টেশনটিতে ময়লার স্তূপ এখন পাহাড়ে রূপ নিয়েছে। ছবি- সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়ীয়ায় ময়লার দুর্গন্ধে বসবাস অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে চারপাশের পরিবেশ। এমনকি এ দুর্গন্ধের কারণে এলাকায় বিয়েও ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কারণ, দীর্ঘ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সেখানে স্থাপিত বর্জ্য থেকে জৈব সার ও পলিথিন থেকে তরল জ্বালানি উৎপাদন প্রকল্পটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার প্রায় ১৯ বর্গকিলোমিটারে প্রতিদিন গড়ে ১০০ টনের মতো বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব বর্জ্য আগে ছয়বাড়িয়ায় স্থাপিত প্রকল্পের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে পরিবেশ অধিদফতর ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ছয়বাড়িয়ায় নির্মিত হয় প্রকল্পটি।

তবে মাত্র ছয় মাস চালুর পরই প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ডাম্পিং স্টেশনটিতে ময়লার স্তূপ এখন পাহাড়ে রূপ নিয়েছে।

ছয়বাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, আমাদের বাড়ির সামনেই ময়লার স্তূপ। দরজা-জানালা খুলতে পারি না। আত্মীয়স্বজনও আসতে চায় না। এমনকি বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল, কিন্তু বরপক্ষ জায়গাটি দেখে পিছিয়ে গেছে।

স্থানীয় এক তরুণ খেলোয়াড় আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা খেলার মাঠে যেতে পারি না, বাজারেও যাওয়া কষ্টকর। দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পৌরসভার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।

জৈব সার প্রকল্পের ঠিকাদার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রথম ছয় মাস আমরা প্রকল্পটি চালাই। কিন্তু এখানে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য একসঙ্গে আসায় আলাদা করতে অনেক খরচ পড়ে। এতে ১০ লাখ টাকার মতো লোকসান হয়, ফলে মূল ঠিকাদার প্রকল্প ছেড়ে দেন।

পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মো. কাউছার আহম্মেদ বলেন, ঠিকাদার প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে গেলেও আমাদের প্রশিক্ষণ দেয়নি। আমরা দক্ষ জনবলও পাইনি। ফলে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে আছে।

পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করে আমরা পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেছি। কিন্তু তারা এটি ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। প্রয়োজনে আমরা প্রকল্প পরিচালক পর্যায়ে আলোচনা করে পুনরায় চালুর ব্যবস্থা নিতে পারি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। পরিবেশ অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!