নারীকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠা জামায়াতের বহিস্কৃত কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে আকাশ চৌধুরী বলছেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেছেন। ফলে এ ঘটনায় এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মেরে আলোচনায় আসেন সিবগাতুল্লাহ ওরফে আকাশ চৌধুরী।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আবদুল করিম জানিয়েছেন, রোববার (১ জুন) বিকেলে নগরের কোতোয়ালি থানার লালদিঘী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তবে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিকেল ৪টার দিকে আকাশ চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘শুনলাম প্রশাসন আমাকে খুঁজছে। আমি চোরও না ডাকাতও না, আমাকে প্রশাসন থেকে কেন খুঁজতে হবে। আমি আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সিদ্ধান্তক্রমে আজকেই চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
তবে এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আবদুল করিম বলেন, ‘সেটি (ফেসবুক পোস্ট) তার নিজস্ব বিষয়। আমাদের বক্তব্য, আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।’
গ্রেপ্তার হওয়ার পরই আকাশ চৌধুরীর আত্মসমর্পণের ঘোষণা দিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
এদিকে, আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে একটি খুদে বার্তা পাঠানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ মে তারিখে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আকাশ চৌধুরী নামের একজন ব্যক্তি বাম ছাত্র জোটের এক নারীকে লাথি মেরে ঘটনাস্থলে নাজুক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিকে শনাক্ত করেন। এরপর ১ জুন তারিখে কোতোয়ালি থানার লালদিঘী মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে কোতোয়ালি থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
এর আগে শুক্রবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কার করে।
আপনার মতামত লিখুন :