বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম

সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পাহারায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন ২ মেয়ে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখলেন বাংলাদেশে বসবাসকারী দুই মেয়ে। ছবি- সংগৃহীত

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখলেন বাংলাদেশে বসবাসকারী দুই মেয়ে। ছবি- সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আবারও উদ্ভাসিত হলো মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাসরত মায়ের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেল বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী দুই মেয়ে। সীমান্তের শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফের সমন্বয়ে এ ব্যতিক্রমী মানবিক আয়োজন সম্পন্ন হয়।                                          

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্তের মেইন পিলার ৯৬/৮-এস এর কাছে মরদেহ প্রদর্শনের এই আয়োজন হয়।

   

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুর হাসান জানান, মৃত লোজিনা বেগম (৮০) ভারতের গংরা বিএসএফ ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকায় তার স্বামী ফকির চানের সঙ্গে বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন নানা দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভোগার পর সোমবার (২ জুন) রাতে নিজ বাড়িতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।   

লোজিনা বেগমের চার ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন চুয়াডাঙ্গার জয়পুর গ্রামে। মায়ের মৃত্যু সংবাদে তারা শেষবারের মতো দেখার আবেদন জানান। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে মানবিকতার নজির স্থাপন করে সীমান্তের শূন্যরেখায় মরদেহ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে। 

লে. কর্নেল নাজমুর হাসান আরও জানান, বিজিবি শুধু সীমান্তের প্রহরী নয়, বরং সীমান্তবর্তী মানুষের নিরাপত্তা, আস্থা এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক। বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয়ে সম্পন্ন হওয়া এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুদৃঢ় করবে।  

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সীমান্তে সৌহার্দ্য ও মানবিকতার এই ধারা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।      

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!