চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দুই বছরের শিশু আয়েশা। দুর্ঘটনার পর নিথর দেহটি কোলে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তার বাবা। চোখে জল, মুখে কাঁপা কণ্ঠে বারবার উচ্চারণ করছিলেন ‘ও আমার আয়েশা, তুই কোথায় গেলিরে।’
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে আয়েশাসহ তিনজন নিহত হন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন।
দুর্ঘটনার সময় আয়েশা ছিল বাবার সঙ্গে একটি সিএনজিতে। দুর্ঘটনার পর বাবার কোলে নিথর পড়ে থাকা শিশুটিকে দেখে মনে হচ্ছিল ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু কাছ থেকে দেখা যায় মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে, বাবার টি-শার্ট লাল হয়ে উঠেছে সেই রক্তে।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা আয়েশাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বারবার আহাজারি করতে থাকেন বাবা সাজ্জাদুন নূর-‘আমার আয়েশা তো কিছুই বুঝতো না, তার কী দোষ ছিল? কেন নিয়ে গেল আমার মেয়ে।’
আয়েশার মা জুবাইদা ফেরদৌসও হাসপাতালে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন, কয়েকবার জ্ঞান হারান তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহরে আত্মীয়দের বাড়ি যাচ্ছিল আয়েশার পরিবার। কিন্তু ঈদের আগেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
নিহতদের মধ্যে আরও একজনের পরিচয় মিলেছে, তিনি মুহাম্মদ তুষার, উত্তর গোমদন্ডী ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আহতদের মধ্যে তিনজন হলেন, আসিফ উদ্দিন বাপ্পি, আসমা আহমেদ ও আঞ্জু আরা। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আপনার মতামত লিখুন :