কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৬ ঘণ্টায় বাবা-ছেলে সহ ৬ জনের ছয় মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার বিকাল পর্যন্ত এসব মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে পাঁচজনের পরিচয় মিললেও এখনো দুই মরদেহের পরিচয় সনাক্ত হয়নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, সদর থানা এলাকার মধ্যে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তিনজন পর্যটক ও একজন স্থানীয়। আরেকজনের মরদেহ গলিত উদ্ধার, যার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওসি ইলিয়াস খান বলেন, তিন পর্যটকের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয় রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে সৈকতের ডায়াবেটিস পয়েন্টে। তিনি চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার নজির আহমদের ছেলে মো রাজিব। রাজিব বিকেল ৫টার দিকে সীগাল পয়েন্টে গোসলে নেমে ভেসে যায়।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে অন্য দুই পর্যটক বাবা- ছেলে একসাথে গোসলে নেমে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার হয় সৈকতের সায়মন পয়েন্ট থেকে। লাইফগার্ড কর্মীরা উদ্ধারের পর রাজশাহীর শাহীনুর রহমান ও তার ছেলে সিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাগরের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে উদ্ধার হয় কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার নুরু সওদাগর এর মরদেহ। তিনি রোববার বিকেলে শখের বশে মাছ ধরে গিয়ে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে ভেসে যায়।
পরে বেলা ১২টার দিকে খুরুশকুলের আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা বাঁকখালীর মোহনা থেকে উদ্ধার হয় আরো একটি অজ্ঞাত গলিত মরদেহ। যার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে রামু থানার ওসি মু. তৈয়বুর রহমান জানান, সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি মরদেহ উদ্ধার হয়। যার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
সিসেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল নেমে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গুপ্ত খালের তৈরি হয়। যেখানে পড়লেই বিপদগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটকরা। নির্দিষ্ট স্থানে গোসলে না নেমে এর বাইরে গোসলে নামলেই মিসিং হচ্ছে। তারপরও লাইফগার্ড চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজকে সকাল থেকেই বিপদগ্রস্ত ৬ জনকে আমরা জীবিত উদ্ধার করেছি।
সিফাত বলেন, যে পরিমাণ পর্যটক মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কর্মী দিয়ে সম্ভব নয়। তাও আবার দুই সিফটে ভাগ হয়ে ১৩ জন করে তারা দায়িত্ব পালন করেন। যা খুবই অপ্রতুল।
বিগত কয়েকবছর ধরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অধীনে সিসেইফ লাইফ গার্ড কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাজ করে থাকেন।