কক্সবাজারের চকরিয়ায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের ঘেরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতির সময় ঘেরের চারজন কর্মচারী আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন খামারের মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হক, কর্মচারী নাসির উদ্দিন, মো. মোজাম্মেল এবং মো. মিজান।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার রামপুর মৌজার ৩০০ একর আয়তনের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে খামার ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী বলেন, এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
উৎপল কান্তি জানান, ‘রাত আড়াইটার দিকে অস্ত্রধারী ৭-৮ জন ডাকাত আমাদের খামার অফিস এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ ছিল। ডাকাতেরা খামার অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিম্মি করে বিক্রির জন্য প্যাকেট করা বাগদা, কোরাল, বাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ঘের কর্মচারীদের দুটি মোবাইল ও ছয়টি টর্চলাইটও লুট করে তারা। বিষয়টি চকরিয়া থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘ডাকাত দল যখন মাছ লুট করছিল, তখন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়। মারধরে ঘেরের মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হক, কর্মচারী নাসির উদ্দিন, মো. মোজাম্মেল ও মো. মিজান আহত হয়েছেন।’
উপল কান্তি আরও জানান, ‘এর আগেও ২০২১ সালের ৫ জুলাই এবং ২০২৪ সালের ৩ জুন ঘেরটি দখলের চেষ্টায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সন্ত্রাসীরা ঘের ছেড়ে পালিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ পুনরায় মাছ চাষ শুরু করে। ২০২১ সালের ঘটনায় চকরিয়া থানায় দায়ের করা মামলাটি এখনো বিচারাধীন।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খামার ব্যবস্থাপক মৌখিকভাবে থানাকে অবহিত করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।’
আপনার মতামত লিখুন :