ভোলায় দেড় লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা জলিল ও রিয়াদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জলিল বলেন, ‘শিবলু ছাত্রলীগ করে, তাকে মেরে ফেলতে পারলে পুরস্কার আছে।’
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর ২টায় চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের পানিরকল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন- শশীভূষণ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদুল আলম নোবেল ও ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান শিবলু।
আর হামলাকারী জলিল উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই গ্রামের কাদির মাঝির ছেলে। ছাত্রদল নেতা রিয়াদ একই এলাকার খালেক পাটওয়ারীর ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, মারধরে গুরুতর আহত হয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতা চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
ছাত্রলীগ নেতা নোবেল বলেন, ‘অভিযুক্ত জলিল এওয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। সে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারণে শুক্রবার দুপুরে ছাত্রদল নেতা জলিলের নেতৃত্বে ছাত্রদলের রিয়াদসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এওয়াজপুরের পানিরকল এলাকায় আমাকে ও বন্ধু শিবলুকে ব্যাপক মারধর করে।’
তিনি জানান, তাদের মারধরে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত শিবলু বলেন, ‘জলিল ও রিয়াদ কয়েক মাস ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার নির্দেশ রয়েছে ওপর থেকে, জলিল এমন হুমকি দিয়ে আসছে। আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালাল।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা জলিল বলেন, ‘শিবলু ছাত্রলীগ করে, ওকে মেরে ফেলতে পারলে পুরস্কার আছে। তবে নোবেলর প্রতি আমার কোনো আক্রোশ নেই।’
শশীভূষণ থানার ওসি মো. তারিক হাসান রাসেল বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :