শেরপুর হেড পোস্ট অফিস থেকে তিন বছর মেয়াদি একটি ডিপোজিটের অর্থ তুলতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন এক নারী গ্রাহক। দীর্ঘদিনের সঞ্চিত অর্থ তুলে তার ব্যাগে থাকা বান্ডিলে ১০০০ টাকার ৫৩টি জাল নোট ধরা পড়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন ভুক্তভোগী শাহিনা বেগম।
সদর উপজেলার গোনই মোমিনাকান্দার বাসিন্দা শাহিনা বেগম গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) তার মেয়াদপূর্তি হওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে ২,৬৯,০০০ (দুই লাখ উনসত্তর হাজার) টাকা উত্তোলন করেন। পরে ওই টাকার বান্ডিলে ১০০০ টাকার ৫৩টি জালনোট ধরা পড়ে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ওই টাকা শহরের উত্তরা ব্যাংকের একটি শাখায় জমা দেওয়ার সময় মেশিনে ১০০০ টাকার ৫৩টি জালনোট শনাক্ত হওয়ায় টাকা গ্রহণ করা হয়নি।
উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মাহবুবুর রহমান জানান, কখনও এমন পরিমাণ জালনোট ব্যাংকে ধরা পড়ে-তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
শেরপুর হেড পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার নূর কুতুব আলম বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। ঘটনাটি ঘটা সেকশনের ভিডিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে; পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পোস্ট অফিসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে জালনোট বের হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
মাধবপুর মহল্লার বাসিন্দা মানিক মিয়া বলেন, বৃদ্ধা শাহিনা বেগমের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ভুক্তভোগী শাহিনা বেগমও দ্রুত তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন