ভোলার সদর উপজেলায় বিয়ের শাড়ি ও প্রসাধনী পছন্দ না হওয়ায় কনে পক্ষের লোকজন বরযাত্রীদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। হামলায় আহতদের মধ্যে সাতজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শের-ই বাংলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন বর মো. সজিব, সোহেল, জাহিদ, অন্তু, তারেক, ময়না ও হালিমা বেগমসহ আরও কয়েকজন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয় চরসামাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকালি গ্রামের মো. আবুর ছেলে সজিব ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শের-ই বাংলা গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিফা আক্তারের। পারিবারিক সম্মতিতে শুক্রবার নববধূ আনতে কনে বাড়িতে যান বরসহ প্রায় ৩০ জন বরযাত্রী।
বিবাহোত্তর মধ্যাহ্নভোজ শেষে কনের জন্য নিয়ে আসা শাড়ি ও অন্যান্য প্রসাধনী বুঝিয়ে দেওয়ার সময় কনে পক্ষের লোকজন তা পছন্দ না করায় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্ক ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বরসহ ১০ জন আহত হন।
আহত বর মো. সজিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিয়ের এক বছর পর পারিবারিক সম্মতিতে নববধূ আনতে যাই। কিন্তু কনের জন্য আনা শাড়ি ও প্রসাধনী পছন্দ না হওয়ায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি এবং আরও নয়জন আহত হই। তারা আমার পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা এবং কনের জন্য আনা ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের নাকফুল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কনে পক্ষের কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাছনাইন পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে বর বা কনে পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :