হতদরিদ্র বিধবা নারীদের স্বাবলম্বী করতে লালমনিরহাটে ৩০ জন বিধবা হতদরিদ্র নারীর মাঝে একটি করে বখনা গরু বিনামূল্যে বিতরণ করেছে আছিয়া ফাউন্ডেশন।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের গিলাবাড়ি এলাকায় এসব গরু তাদের দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থায় বেশির ভাগ পরিবারের সংসার চলে পুরুষের আয়ে। সেই পুরুষ মারা গেলে উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে পড়ে এসব বিধবা নারীর সংসার। অনেক বিধবা নারী সংসার সচল রাখতে নিদারুণ অর্থ কষ্টে ভুগেন।
অর্থাভাবে এসব পরিবারের সন্তানদের লেখা-পড়াও বন্ধ হয়ে পড়ে। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর পরে উপার্জন বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন এসব নারী। তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজলেও অর্থাভাবে পুঁজি সংকটে অনেকেরই তা সম্ভব হয় না।
এসব হতদরিদ্র বিধবা নারীদের স্বাবলম্বী করতে পরিবার প্রতি একটি করে বখনা বাছুর গরু বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নেয় আছিয়া ফাউন্ডেশন। প্রথম পর্যায়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ২০ জন ও সদর উপজেলার ১০ জন বিধবা নারীকে চূড়ান্ত করে ফাউন্ডেশন।
প্রতিটি বখনা বাছুরের মূল্য ৩০/৩৫ হাজার টাকা। সোমবার এসব গরু হতদরিদ্র বিধবা নারীদের হাতে তুলে দেন লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও লালমনিরহাট ২ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু।
সুফল ভোগী সারপুকুর রইসবাগ এলাকার জোসনা বেগম বলেন, ৩ সন্তান রেখে ৮ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। সেই থেকে অন্যের জমিতে দিনমজুরি দিয়ে সন্তানদের পড়ালেখা করাচ্ছি। আয় না হলে না খেয়েও থাকতে হয়েছে। গরু পুষে (লালন পালন) নিজের সংসার উন্নতি করার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু টাকার অভাবে গরু কিনতে পারিনি। আজকে বিনামূল্যে গরু পেয়েছি। সন্তানের মত যত্ন করে গরু দিয়ে ক্ষুদ্র খামাড় গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। এ উপহার কোটি টাকার সম্পদ আমাদের কাছে।
গরু বিতরণ শেষে জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন, স্বামী নামক উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর পরে ওই পরিবার শোকের সাথে আর্থিক সংকটে ভুগে। অভাব নামক দানবের সাথে নিত্য লড়াই করে চলতে হয় তাদের।
তিনি বলেন, আমরা আছিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এমন হতদরিদ্র বিধবা নারীদের স্বাবলম্বী করতে বিনামূল্যে একটি করে বখনা বাছুর উপহার দিয়েছি। যা লালন পালন করে ধিরে ধিরে ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ধরনের খামাড় গড়ে উদ্যোক্তা হতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :