সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

ছাত্রী সেজে শিক্ষক অপহরণ, গ্রেপ্তার ২

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

র‌্যাব-১২ বগুড়ার অভিযানে গ্রেপ্তার হয় চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন।  ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

র‌্যাব-১২ বগুড়ার অভিযানে গ্রেপ্তার হয় চক্রের মূলহোতাসহ দুইজন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ায় সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের অভিনব ফাঁদে পড়ে অপহৃত হয়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক। ছাত্রী পরিচয়ে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা ও মোবাইল। আদায় করা হয় বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণও। ঘটনার এক সপ্তাহ পর র‌্যাব-১২ এর বগুড়া ক্যাম্পের অভিযানে চক্রের মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (২২ জুন) দিবাগত রাতে শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা রাবেয়া রিয়া (২০) এবং তার সহযোগী মানিক চন্দ্র সরকার (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তার রিয়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার নগরপাড়ার বাসিন্দা মাজেদ আলীর মেয়ে এবং মানিক শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুরিয়ার বাসিন্দা বিরেন চন্দ্র সরকারের ছেলে।

অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন, তিনটি বাটন মোবাইল, চারটি সিমকার্ড এবং একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক জানান, গত ১৫ জুন শহরের আজিজুল হক কলেজ গেট এলাকায় ছাত্রী পরিচয়ে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক গোলাম রব্বানীকে ডেকে নেয় রাবেয়া রিয়া। পরে তাকে কৌশলে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের একটি নির্জন বাসায়।

সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার কাছে থাকা নগদ অর্থ এবং মোবাইল। এরপর তার পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩৮ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে চক্রটি।

ঘটনার পর শিক্ষক নিজেই সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন, যার তদন্তে নামে র‌্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুইজন স্বীকার করেছে-তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ চক্র পরিচালনা করে আসছিল। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল সমাজের প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিরা। ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করাই ছিল তাদের প্রধান কৌশল।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!