যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানকে (৪৭) মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে নিমতলা বাজারে শত শত মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়। এ সময় হামলাকারী লিটনের ‘পা কেটে আনতে পারলে’ এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সমাবেশ চলাকালে মাইকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের অনুসারী ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বক্তব্যে বলেন, ‘লিটনের পা কেটে আনতে পারলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’ তার এ ঘোষণায় বিক্ষোভকারীরাও উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানান।
ফুলসারা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লতিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দলমত নির্বিশেষে একজন সৎ ও জনবান্ধব মানুষ। তার ওপর এভাবে নৃশংস হামলা মেনে নেওয়া যায় না। তাই এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও অনেকেই জানান, লিটন একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী ও মাদক কারবারি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই সে একেক সময় বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়ে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিএনপি নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে লিটন ও তার বাহিনী।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘লিটন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে ফুলসারা ইউনিয়নের আফরা চন্দ্রপাড়া এলাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে লিটন ও এক অজ্ঞাত সঙ্গী মোটরসাইকেল থামিয়ে চাঁদা দাবি করে।
১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দেয়। হামলার সময় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা জিয়াউরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আপনার মতামত লিখুন :