কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আজও আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঘটনার রাতেই জনগন মারধর করেছিল। ওইসময় তার হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রোববার (২৯ জুন) তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও চিকিৎসাধীন থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে এ দিন গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিদের পর্ণোগ্রাফি আইনের মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলী আহতাবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে অবগত করা হলে কোর্ট অর্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেল পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ভুক্তভোগী ওই নারী রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তিনি মামলা আর চালিয়ে নিতে চান না। মামলা তুলে নিতে চান।
মামলা তুলে নিতে কেউ তাকে চাপ প্রয়োগ করেনি এমনকি টাকার লোভও দেখায়নি বলে জানান ওই নারী। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কারণে ও সামাজিক চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।’
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি তাকে বলেছেন, সম্মান তো চলেই গেছে এখন মামলা করলে কি সেই সম্মান ফিরে আসবে? আসবে না।
ওই নারী বলেন, ‘মামলা করছিলাম ভালার লাইগা। অহন জামাইয়ে না করে। মামলাটা যখন করছি জামাই আমার লগে রাগারাগি কইরা কথা বলে নাই। গেরামের লগেও বুঝতে পারি নাই। স্বামী এইসব শুইনা, দেইখা অহন ফোনই দেয় না।’
এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এমন দাবি করেছে স্থানীয়রা। তারা বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ফজর আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। এই সুবাদে টাকার লেনদেনও করতেন ওই নারী।
তবে এমন দাবি অস্বীকার করেছেন ভুক্তভোগী নারী। তিনি জানান, ফজর আলীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না, তবে তার সঙ্গে তিনি টাকা লেনদেন করতেন। টাকা-পয়সা নিয়েই কথা বলতেন। টাকা নিয়েই ছিল সম্পর্ক।’
আপনার মতামত লিখুন :