পাবনায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে সুজানগর পৌরবাজারের নন্দিতা সিনেমা হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ খাঁ ও অপর পক্ষের বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁর অনুসারী আশিক মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মোবাইল ফোনে একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ খাঁর ভাতিজা ও তার অনুসারীরা আশিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং তাকে মারধর করেন।
এই ঘটনার জেরে পরদিন বুধবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়, পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। খবর পেয়ে সুজানগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌফিক হাসান আলহাজ্ব বলেন, ‘ঘটনাটি দলীয় কোনো বিরোধ নয়, বরং এটি একটি ব্যক্তিগত ও আঞ্চলিক সমস্যা।’
সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :