এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দুই শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মিতু আক্তার রেশি (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অপর শিক্ষার্থী আরমিনা আক্তার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মিতু আক্তার রেশি বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের দোগাছি ক্ষিরাপুকুর গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে।
জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গণিত, উচ্চতর গণিত ও রসায়নে ফেল করার পর সে নিজের মোবাইলে ফলাফল দেখে ঘরের ভিতরে গলায় ফাঁস দেয়। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তার বাবা রুহুল আমিন বলেন, ‘ফল প্রকাশের আগের দিন মেয়েকে সাহস দিয়েছিলাম। সে নিজেও বলেছিল, ‘কোনো সমস্যা নেই বাবা’। পরে এমনটা করবে, কল্পনাও করিনি।’
অন্যদিকে, আরমিনা আক্তার নামের আরেক পরীক্ষার্থী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ফেল করার পর মায়ের বকাঝকার কারণে অভিমানে বিষপান করে। সে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও কুয়াটল গ্রামের আনছারুল হকের মেয়ে ও চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
তার চাচি ইসামন বিবি বলেন, ‘মায়ের উপর অভিমান করেই বিষপান করেছে। সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় এখন বিপদ কেটে গেছে।’
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আহাদুজ্জামান বলেন, ‘মিতুকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আরমিনাকে ওয়াশ করে বিষমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, ‘পুলিশ দুটি ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আরও সচেতন ও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :