কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে সিগনালের ভুলে যাত্রী না নিয়ে ট্রেন চলে গেছে অন্য স্টেশনে। এতে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাঙ্গলকোট উপজেলা রেলওয়ে স্টেশন এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে শিডিউল মোতাবেক থেমে যাত্রী ওঠানামা করানোর কথা। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি পূর্ব-নির্ধারিত স্টেশনে না থেমে সিগনালের ভুলে পরবর্তী স্টেশনে চলে যায়। এতে শতাধিক যাত্রী দুর্ভোগের মুখে পড়েন।
এ সময় যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদের তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টারকে বলেছি ট্রেন চালানোর জন্য। তিনি ৮০২ চট্টলার স্থলে ৭০২ সুবর্ণ মনে করে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোটে থামাননি। কেবিন মাস্টারের বলার ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’
লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, ‘আমি ৮০২ চট্টলা ট্রেনের কাগজ লিখে দিয়েছি। ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখিনি। আমরা দুজন মাস্টার ভুল করতে পারি, কিন্তু ট্রেনের ড্রাইভার ভুল করতে পারেন না। সে তো স্টপেজ দিতে পারত। ট্রেনের গার্ড তো ভুল করতে পারে না, সেও ব্রেক করতে পারত।’
কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :