লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে কুলছুমা আক্তার কল্পনা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের বাম পায়ে কলম দিয়ে শ্বশুর, দেবর, ননদসহ চারজনের নাম লেখা পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার পরপরই তারা সবাই পলাতক।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী মো. রোমানের বাড়ি থেকে কল্পনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আলমগীর হোসেন জানান, মাত্র আট দিন আগে কল্পনার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সন্তান দেখতে মঙ্গলবার কল্পনার বাবার বাড়ির লোকজন মিষ্টি ও অন্যান্য উপহারসামগ্রী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেগুলো কম হওয়ায় কল্পনাকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি অপমান করেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই রাতে কল্পনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘১৬-১৭ বছর আগে কল্পনার সঙ্গে রোমানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রোমান ওমান থাকায় শ্বশুর খোরশেদ আলম ও শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা কল্পনাকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিলেন। এবার তারা তাকে মেরে ফেলেছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন আলমগীর।
এদিকে পায়ে লেখা নামগুলো তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শ্বশুর খোরশেদ আলমসহ পরিবারের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়জুল আজীম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি, গৃহবধূ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ গিয়ে তাকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়নি। বিষয়টি সন্দেহজনক। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :