ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৪৭টি পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিদ্যালয়ে তিন থেকে চারটি সহকারী শিক্ষকের পদও একযোগে শূন্য রয়েছে।
উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫৯টি। এর প্রায় অর্ধেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের পদগুলো অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে শূন্য হয়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনোভাবে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
শিক্ষকশূন্য এ বিদ্যালয়গুলোতে ডেপুটেশনের মাধ্যমে শিক্ষক দেওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অল্প।
প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে: শ্যামগঞ্জ, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্রনগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলতবাড়ী, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোনা, ঘাটেরকোনা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দনগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাঁও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউযা, লক্ষ্মীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকারকান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ী, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাঁও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মণ্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চানপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর ও নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এর মধ্যে চল্লিশা কড়েহা ও বড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ খালি। এ ছাড়া মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া এবং পূর্ব পুবারিয়া বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি দুজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় চরম ভাটা পড়েছে। অনেক সহকারী শিক্ষক যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না। কেউ কেউ নির্ধারিত সময়ের আগেই ক্লাস ছেড়ে চলে যান, এমন অভিযোগও রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে এবং বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার বেড়েছে।
গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ‘অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও অনেকে প্রভাব খাটিয়ে সুবিধাজনক স্থানে বদলি হয়ে যান। ফলে এসব বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট রয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251031233315.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031164732.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন