রান্নাঘরে গ্যাস জমে ছিল অজান্তেই। রান্না শেষ, চুলাও বন্ধ—তবু ঘরের ভেতরে ছিল অদৃশ্য এক বিস্ফোরণের ফাঁদ। মাত্র একটি চুলা চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তেই দগ্ধ হন দুজন। শেষমেশ কেড়ে নেয় একজনের প্রাণ।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার শেখবাড়িতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট এই বিস্ফোরণে নিহত হন মোজাম্মেল হক (৬০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাত্র দু’দিন আগে ভাড়া বাসায় উঠেছিলেন মোজাম্মেল হক। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা। রোববার বিকেলে রান্না শেষে গ্যাস চুলা বন্ধ করে তিনি স্বাভাবিকভাবেই বসবাস করছিলেন।
একপর্যায়ে ফ্রিজ নষ্ট হলে রাকিব নামে এক ইলেকট্রিশিয়ান তা মেরামতের জন্য ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরের ভেতরে ঢুকে গ্যাসের গন্ধ টের পান তিনি। তখনই তিনি মোজাম্মেলকে বিষয়টি জানান। মোজাম্মেল গ্যাস চুলাটি পরীক্ষা করতে বলেন। আর তখনই ঘটে বিস্ফোরণ।
দুজনই দগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়।
চিকিৎসক জানান, মোজাম্মেলের শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং রাকিবের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। মোজাম্মেল রোববার রাতেই মৃত্যুবরণ করেন।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘরের জানালার থাই গ্লাস ও দুটি দরজা সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয়দের খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ আহমেদ জানান, ‘আমরা একজন নিহতের খবর নিশ্চিত হয়েছি।’
আপনার মতামত লিখুন :