বরগুনার আমতলী উপজেলায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ ও মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মোহাম্মদ রেজাউল করিম (৪৫) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার ঘটখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল করিম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমতলী পৌরসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামীর যৌথ উদ্যোগে একটি সমাবেশ ও মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে মাওলানা রেজাউল করিম মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঘটখালী এলাকায় পৌঁছালে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী ছন্দা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে বাসচাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা আব্দুল হক মল্লিক নামে আরেকজন আহত হন।
ঘটনার পর ইসলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বাস ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
পরে পুলিশ বাসটিসহ চালক, হেল্পার ও সুপারভাইজরকে আটক করলে রাত ৯টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ইসলামী আন্দোলন আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘রেজাউল করিম মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় সড়কে মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন। আমরা তার মৃত্যুর সঠিক বিচার চাই।’
বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী বলেন, ‘বাস ও আটককৃতদের দ্রুত থানায় এনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বাসমালিককে হাজির করে ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। না হলে প্রয়োজনে আবারও সড়ক অবরোধ করা হবে।’
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং ঘাতক বাস শনাক্ত করে মহিপুর ও কালপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করি। পরে মহিপুর থানা পুলিশ বাস ও সংশ্লিষ্টদের আটক করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :