জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনকালে বিভিন্ন স্থানে ৬ নেতার মৃত্যু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে  মঙ্গলবার সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করে সারা দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছয় নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিএনপি

মিছিল চলাকালে হৃদরোগ ও হিটস্ট্রোকে পাকুন্দিয়া, শাহরাস্তি, গৌরনদী ও কাপাসিয়ায় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতার মৃত্যু হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশে যোগদানকালে মাওলানা আবুল কালাম নামে এক জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলন

বরগুনার আমতলী উপজেলায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি ৩৬ জুলাইয়ের সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় মাওলানা মোহাম্মদ রেজাউল করিম নামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আনন্দ মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আল আমিন নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। আল আমিন উপজেলার কন্দরপদী গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিএনপির আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মো. মিজানুর রহমান নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপির সমাবেশস্থলে হিটস্ট্রোকে মিরাজ ফকির নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপনের সমর্থনে সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বাকাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিজয় মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই যুবদল নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি টোক ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

এদিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় মাওলানা আবুল কালাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি একটি মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছিলেন।  এ সময় সামনের সারিতে থাকা জামায়াতের এই নেতা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর নেতাকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা মাওলানা রেজাউল করিম মিছিল শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার ঘটখালী নামক এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী ছন্দা পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ওই মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রেজাউল করিম সড়কে ছিটকে পড়ে বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।