নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত ১২ জুন থেকে সাগরে ইলিশ ধরা শুরু করেন জেলেরা। তবে বৈরী আবহাওয়া এবং সমুদ্রে পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ায় হতাশায় ছিলেন জেলেসহ ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাররা। হঠাৎ গত কয়েকদিনে পরিমাণটা বেড়েছে। জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়তে শুরু করে ইলিশ। তবে ছোট সাইজের ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ মাছের মোকাম কুয়াকাটা-আলীপুর-মহিপুর ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনে গড়ে এ মোকাম থেকে ৪৫-৫০ টন ইলিশ দেশের বিভিন্ন মোকামে যাচ্ছে। ইলিশ ছাড়া অন্যান্য মাছও শিকার করছে জেলেরা।
এতে জেলে, ট্রলার মালিক, আড়ৎদার ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে উপকূলের মৎস্যবন্দরগুলোতে। জেলে পরিবারের দীর্ঘদিনের হতাশা কেটে গেছে। উপকূলের জেলেপাড়ায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ছোট সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে তুলনামূলক অনেক কম। ট্রলিং ট্রলার বন্ধ করলে মাছ বাড়বে।
জেলে, ট্রলার মালিক, আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধায় সাগরে ফিশিং শেষে আলীপুর-মহিপুর ঘাটে ফিরে ফিরেছে ২০-২৫টি ট্রলার। প্রত্যেকটি ট্রলারই কম বেশি মাছ পেয়েছে। এরমধ্যে এফবি তামান্না ট্রলারে প্রায় ১০ মণ মাছ পেয়েছে। প্রতি মণ ৭৪ হাজার টাকা দরে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন। এফবি আব্দুল্লাহ নামের ট্রলারটি ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রয় করেছেন।
এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার টাকার মাছ পেয়েছে। এফবি জামাল নামের একটি ৮০ মণের বেশি মাছ পেয়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্রয় হয়নি। তবে ট্রলারের জেলেরা ধারণা করেছেন ২৪-২৫ লাখ টাকা হতে পারে।
অন্যদিকে, মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বলে জানা গেছে, মাছের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কিছুটা কমছে। এক কেজি ওজনের প্রতি মণ ইলিশের পাইকারি দাম ৬৫-৭০ হাজার টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের দাম ৪৫-৫০ হাজার টাকা, ৪০০-৬০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের দাম ৩৫-৪০ হাজার টাকা, ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকা। জাটকা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ হাজার টাকায়।
আপনার মতামত লিখুন :