সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

সুরভীর টানে দিনাজপুরে চীনের ইয়ং

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

সুরভী আক্তার ও চীনা নাগরিক ইয়ং সাও সাও। ছবি- সংগৃহীত

সুরভী আক্তার ও চীনা নাগরিক ইয়ং সাও সাও। ছবি- সংগৃহীত

এক বছর আগে ‘হ্যালো ট্যাগ’ অ্যাপসের মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণী সুরভী আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় চীনা নাগরিক ইয়ং সাও সাওয়ের। এরপর গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে শুরু হয় কথোপকথন। এভাবেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক।

সেই ভালোবাসার টানেই চীন থেকে ছুটে আসেন ইয়ং সাও সাও (৩৬)। উঠেছেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাজীপাড়া শিমুলতলী এলাকায় অবস্থিত প্রমিকার বাড়িতে। এখন তিনি প্রিয় ভালোবাসার মানুষ সুরভীকে বিয়ে করে তারই বাড়িতে বসবাস করছেন।

সুরভী আক্তার (১৯) ওই এলাকার নুর হোসেন বাবুর বড় মেয়ে। ইয়ং সাও চীনের জিয়াংশু সিটির বাসিন্দা। তিনি মৃত ইয়াং শি ও মা লিও ট্যাংহু দম্পতির ছেলে। গত ৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং ৯ আগস্ট সুরভীকে বিয়ে করেন।

সরেজমিনে সুরভীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ, শিশু-বয়স্ক সবাই নতুন জামাইকে দেখতে ভিড় করেছেন। কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন, আর ইয়ং সাও মোবাইল ট্রান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করে উত্তর দিচ্ছেন। কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন।

প্রেম ও বিয়ে প্রসঙ্গে সুরভী আক্তার বলেন, ‘হ্যালো ট্যাগ অ্যাপসের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এক বছর ধরে আমরা যোগাযোগ রাখি। পরে সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি জানাই, আমার ধর্ম গ্রহণ করলে আমি রাজি। এরপর সে বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করে। আমার পরিবার ও এলাকাবাসী খুব খুশি।’

সুরভীর ছোট বোন রিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার দুলাভাই চীনা নাগরিক—এটা আমার কাছে গর্বের। ভালোবাসার টানে তিনি বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছেন। আমরা মোবাইল ট্রান্সলেট দিয়ে কথা বলি। পরিবারের সবাই খুব খুশি।’

সুরভীর বাবা নুর হোসেন বাবু জানান, ‘আমার দুই মেয়ে মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকে। বড় মেয়ের সঙ্গে চীনা নাগরিকের পরিচয় হয় এবং তারা একে অপরকে পছন্দ করে। পরে সে বাংলাদেশে এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করে। ৯ আগস্ট আমি তাদের ঢাকার গাজীপুর থেকে দিনাজপুরে নিয়ে আসি।’

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বিদেশি জামাই এসেছে—এটা গর্বের বিষয়। অনেকেই দেখতে আসছেন, কথা বলছেন। আগে শুধু টিভিতে দেখেছি, এখন আমাদের গ্রামেই বিদেশি জামাই।’

Shera Lather
Link copied!