বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম

তজুমুদ্দিন-মনপুরা নৌরুটে ৭ দিন সি-ট্রাক বন্ধ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাত্রী

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।    ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ভোলার তজুমুদ্দিন-মনপুরা নৌরুটে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাতে টানা ৭ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী সি-ট্রাক এসটি ইলিশা। জেলার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার যোগাযোগের একমাত্র নিরাপদ সি-ট্রাকটি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনুমোদনহীন ট্রলারে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, বিআইডব্লিউটিসি থেকে টেন্ডারে পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়ানুর এন্টারপ্রাইজ-এর কর্ণধার মো. নুরউদ্দিন সি-ট্রাকটি মেরামত না করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অবৈধ ট্রলারে যাত্রী পারাপার করছেন। সুযোগ পেলেই তারা যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাতে সি-ট্রাক বন্ধ রাখেন বলেও অভিযোগ করেন।

এতে যেকোনো সময় মেঘনার ডেঞ্জার জোনে দুর্ঘটনায় ট্রলার ডুবে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ট্রলারে যাতায়াত করছেন।

গত মঙ্গলবার থেকে আজ অবধি নৌরুটে চলাচলকারী সি-ট্রাক এসটি ইলিশা বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সি-ট্রাক কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত সুকানি মো. নিরব। তিনি জানান, ঢাকা থেকে যন্ত্রাংশ আসলেই মেরামত করে সি-ট্রাকটি চালু করা হবে।

যাত্রী সুজন, মো. আমির, আলমগীর ও রীতা রানীসহ অনেকে জানান, বাধ্য হয়ে তারা মালপত্র ও যাত্রী গাদাগাদি করে ট্রলারে যাতায়াত করছেন। গর্ভবতী মা ও রোগীরা জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। যাত্রীরা এই নৌরুটে নিরাপদ সি-ট্রাক সবসময় চালু রাখার দাবি জানান।

এই বিষয়ে টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদার নুরউদ্দিনের পক্ষে মো. নিরব উদ্দিন জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির মেরামতের কাজ চলছে, দুই-এক দিনের মধ্যে সি-ট্রাক চালু হবে। তবে অনুমোদনহীন ট্রলারে যাত্রী পারাপারের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা যায়, বিআইডব্লিউটিসি থেকে মো. নুরউদ্দিন মিয়া ইয়ানুর এন্টারপ্রাইজ-এর নামে ইজারা নিয়ে তজুমুদ্দিন-মনপুরা নৌরুটে সি-ট্রাকটি পরিচালনা করছেন।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা বিআইডব্লিউটিসি-এর ব্যবস্থাপক কাওছার হোসেন জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের কাজ শেষ হলে সি-ট্রাক পুনরায় চালু হবে। যাত্রীদের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিসি-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বরিশাল অঞ্চল) খন্দকার তানভীর মুঠোফোনে জানান, দুই দিন আগে ঠিকাদার নুরউদ্দিনকে অফিসে ডেকে সি-ট্রাক চালুর কথা বলেছি। আজ আবারও ডেকে দ্রুত চালুর জন্য বলা হবে। সি-ট্রাক দ্রুত চালু না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!