শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৯:১৭ এএম

অভাবের চাপে যমজ সন্তান বিক্রির চেষ্টা, ডিসির হস্তক্ষেপে রক্ষা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৯:১৭ এএম

জেলা প্রশাসক নবজাতক যমজের জন্য দুধ ও খাদ্যসামগ্রী, পরিবারের জন্য শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।   ছবি- সংগৃহীত

জেলা প্রশাসক নবজাতক যমজের জন্য দুধ ও খাদ্যসামগ্রী, পরিবারের জন্য শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। ছবি- সংগৃহীত

নেত্রকোনা পৌর শহরের নাগড়া আনন্দ বাজার এলাকার বাসিন্দা রাজন মিয়া দারিদ্র্যের চাপে নিজের যমজ নবজাতক সন্তান বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীরা জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন। এরপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের দ্রুত হস্তক্ষেপে রক্ষা পায় শিশুদ্বয়।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক বিষয়টি জানতে পেরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান ও সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক শাহ আলমকে নিয়ে রাজন মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে পরিবারটির দারিদ্রের চিত্র প্রত্যক্ষ করেন তিনি। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে নবজাতক যমজের জন্য দুধ ও খাদ্যসামগ্রী, পরিবারের জন্য শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। পাশাপাশি বড় সন্তানকে নেত্রকোনা শিশু পরিবারে (বালক) লালনপালনের জন্য পাঠানোর পরামর্শ দেন।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজন মিয়ার পরিবারকে দীর্ঘমেয়াদে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে ঘর মেরামত, সংসার চালাতে সহায়তা ও একটি রিকশা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সমাজকর্মী শাহরিয়ার রহমান সাঈদ ও আবদুর রহমান জানান, রাজন চার সন্তানের জনক। অভাব-অনটনের কারণে তিনি চরম অসহায় অবস্থায় পড়েছিলেন এবং সন্তান বিক্রির কথা ভাবতে বাধ্য হন। তবে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে পরিবারটি এখন নতুন আশার আলো দেখছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, অসহায় পরিবারটির খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়ে তাদের ঘরবাড়ি ও অবস্থা দেখি। পরিবারটি খুব কষ্টে আছে। তাই তাদের জন্য সরকারি সহায়তায় ঘর মেরামত, খাদ্য সহায়তা এবং রিকশা কেনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!