বান্দরবানের আলীকদম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লংপংপাড়া এলাকায় আরাকান আর্মি (এএ) ও আরসা-আরএসও’র মধ্যে নতুন করে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী স্থানীয় বাসিন্দা ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
সীমান্তবর্তী ম্রো জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা জানান, সীমান্ত পিলার ৫৫ ও ৫৬ নম্বর এলাকার কাছে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে টানা গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর আরসা ও আরএসও যৌথভাবে ওয়াই হ্লান ক্যাম্পে হামলা চালায়, যেখানে আরকান আর্মির কয়েকজন সদস্য নিহত হয় বলে মিয়ানমারে অবস্থানরত স্থানীয় আত্মীয়রা জানিয়েছেন।
তবে ক্যাম্পটি আরসা ও আরএসও দখল নিতে ব্যর্থ হয়। এখনো ওই ক্যাম্পে আরকান আর্মির পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় তংমে ম্রো জানান, আরাকান আর্মিকে হটাতে আরসা-আরএসও’র সঙ্গে সীমান্তবর্তী কিছু স্থানীয় সম্প্রদায়ও সহযোগিতা করছে। তবে এখনো ওয়াই হ্লান ক্যাম্পটি তাদের নিয়ন্ত্রণে যায়নি।
কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে এখনো আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে আরসা, আরএসও এবং স্থানীয় কিছু গোষ্ঠী মিলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
-20251002104920.jpg)
এই সংঘর্ষের কারণে সীমান্তবর্তী বহু ম্রো পরিবার বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে শতাধিক ম্রোকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় পুশব্যাক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রামু ব্যাটালিয়নের (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্ত পিলার ৫৫ ও ৫৬-এর মাঝামাঝি জিরো পয়েন্ট থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লংপংপাড়া এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে হতাহতের নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন