বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো দিন রাজপথ ছাড়েনি: টুকু

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা কখনো রাজপথ ছেড়ে যায়নি। আন্দোলনের সময় যারা রাজপথে ছিলেন, তারা এখনও একই জায়গায় আছেন, অন্য কোনো দিকে যাননি।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের রেলগেট এলাকায় বিএনপির ১, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টুকু বলেন, “আমি যখন বিদেশে ছিলাম, তখন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রতিদিন আন্দোলনের ছক তৈরি করে রাজপথে নেমেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি একজন মহিলা; তাকে গুলি করে, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে দমন করা যায়নি। তিনি কোনো নেতাকর্মীকে ছেড়ে যাননি।”

তিনি আরও দাবি করেন, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর যাদের রাজপথে দেখা যায়নি, তারা হঠাৎ আবির্ভূত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আলবদর ও আলশামস গড়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, অথচ পরে বধ্যভূমিতে গিয়ে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে ভণ্ডামি দেখিয়েছে।

দেশ অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও ভারত: ফারুক

বিস্তারিত পড়ুন

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ বছরের আন্দোলনে অনেক দল রাজপথে ছিল না। তাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে, কিন্তু তারা রাজপথে নামেনি। বরং আওয়ামী লীগের ভেতরে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও হামলার শিকার হয়েছে।

টুকুর ভাষ্য, “আমরা ছলনার রাজনীতি করি না। ছাত্রদলও করেনি। তারা দীর্ঘ ১৬ বছর ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। অথচ অন্যরা ঘাপটি মেরে থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে।”

টুকু বলেন, “একটি দল আজও বলে ভারত নাকি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করেছে। অথচ পাকিস্তান আর কোনোদিন হবে না। পাকিস্তান ভাঙার কারণ ছিল তাদের শোষণ-নীতি।”

এনসিপিকে বেগুন-বালতিসহ ৫০ প্রতীকের অপশন

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান ইসলামকে হাতিয়ার করে শোষণ শুরু করেছিল। তখনই বাঙালিরা বুঝেছিল তেলে-জলে মেলে না। তাই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছিল।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস।