চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরগুনি বিটের অধিকাংশ পাহাড় ন্যাড়া করে গাছ ও বাঁশ নিধনের মহোৎসব চলছে। কিন্তু বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার বান করে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পটিয়া রেঞ্জের আওতাধীন চন্দনাইশের বরগুনি বিট এলাকায় বাঁশ ও কাঠ পাচারের ফলে শত শত একর পাহাড় ন্যাড়া হয়ে মরুভূমি হচ্ছে।অন্যদিকে স্থানীয়রা দখল করে বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ রোপণ করছেন। যার ফলে একদিকে বনের মূল্যেবান সম্পদ গাছ ও বাঁশ উজাড় হচ্ছে অন্যদিকে বন দখলে মহোৎসব চলছে। বিশেষ করে কাঠ ও বাঁশ পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে দাঁড়িয়েছে খাঁনহাট টু ধোপাছড়ি সড়ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বরগুনি বিট অফিসকে প্রতি গাড়ীতে লেনদেনের মাধ্যমে এসব ব্যবসা করে থাকেন।তবে কাঠ পাচার দিনের চেয়ে রাতে বেশী পাহাড় উজাড় হচ্ছে। আর এসব কাজে বরগুনি বিট কর্মকর্তা রক্ষকের চেয়ে ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে বরগুনি বিট অফিসে গেলে কারও দেখা মেলেনি। পরে বিট কর্মকর্তাকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি ডিউটিতে আছেন বলে জানান।
কিন্তু অফিস সংলগ্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিট কর্মকর্তা কর্মস্থলে থাকে না। সপ্তাহ পর পর অফিসে এসে ঘুরে চলে যায়।
যার ফলে বনদুস্যরা দিন দিন পাহাড় উজাড়ে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বরগুনি বিট কর্মকর্তা মো. রহমত আলী তার বিষয়ে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করে বলেন, উক্ত বিটের পাহাড়ে কোন গাছ, বাঁশ কাটা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বরগুনি বিটের নানা অনিয়মের তথ্য নিয়ে আগামীতে ধারাবাহিক রির্পোট প্রকাশ করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন