শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ১১:০৩ এএম

জামায়াতের প্রার্থী ডা. রেজাউল করিমের ২০ দফা পরিকল্পনা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ১১:০৩ এএম

রাঙ্গুনিয়ায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এটিএম রেজাউল করিম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাঙ্গুনিয়ায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এটিএম রেজাউল করিম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ডা. এটিএম রেজাউল করিম। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় রাঙ্গুনিয়ার মরিয়ম নগরস্থ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ছাত্র জীবন থেকেই আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। কোনো উত্তরাধিকার বা পারিবারিক ঐতিহ্যে নয়, আমি উঠে এসেছি এই মাটির গভীর থেকেই তাই আমি এই মাটির সাথে রক্ত ঋণে আবদ্ধ এবং সেই দায় থেকে বলছি, আমি কোনো একক দলের প্রার্থী নই, আমি জাতি, ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই প্রার্থী।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ২৪ এর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বীর শহিদদের। যাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। দেশের মানুষ বাক-স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। একই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আন্দোলনে পঙ্গুত্ব বরণকারী সকল বীর যোদ্ধাদের।’

ডা. রেজাউল করিমের ২০ দফা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে

১. মরিয়মনগর টু রাণীর হাট ডিসি রোডকে প্রশস্তকরণের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নেয়া।

২. চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রোডকে চার লাইনে উন্নীত করা।

৩. উপজেলায় শিক্ষার মানকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করা। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তাদের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখা।

৪. জনগণের চিত্ত বিনোদনের জন্য উপজেলার তিনটি বনাঞ্চলকে ঘিরে তিনটি পার্ক ও অবকাশ কেন্দ্র নির্মাণ করা।

৫. কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত গোডাউন সেতুর সংস্কার ও লিচুবাগান রাইখালী সেতুর কাজ দ্রুত সময়ে শুরু করা।

৬. কর্ণফুলীর ভাঙন রোধে নদীর বালু লুট বন্ধ করা। কর্ণফুলী নদীর মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য দুষণ রোধ ও মাছের অভয়ারণ্য তৈরির জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো।

৭. গ্রামীন বনায়নে উৎসাহ প্রদান এবং সরকারি বনাঞ্চল উজাড় বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৮. চট্টগ্রামের শস্যক্ষেত খ্যাত গুমাইবিলকে বিরান হওয়ার হাত থেকে রক্ষা, জলাশয় পুনরুদ্ধার, মাছের আবাসস্থল নির্মান এবং ভুমি ও পরিবেশ বিনষ্টকারী ইট-ভাটা নিয়ন্ত্রণ করে জীব বৈচিত্র্য ধরে রাখার চেষ্টা করা। গুমাইবিল কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশের চেষ্টা করা। কৃষি কাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নত বীজ সরবরাহ করা।

৯. প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে ইউনিয়ন ও এলাকাভিত্তিক হেলথ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।

১০. উপজেলা হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও দক্ষিণ ও উত্তর রাঙ্গুনিয়ায় আরও দুইটি ১০ বেডের সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।

১১. উপজেলার জনসংখ্যার বড় অংশ প্রবাসী। কারিগরি শিক্ষার অভাবে প্রবাস জীবনে সবাইকে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়। ফলে তারা ন্যূনতম মজুরিও পায় না, এই সমস্যা দুর করার জন্য এলাকা ভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং ভবিষ্যৎ দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষে কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।

১২. বয়স্কশিক্ষা চালু, বয়স্ক ভাতার পরিধি বাড়ানো ও ভাতা বিতরণে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।

১৩. নারীদের জন্য এলাকাভিত্তিক গার্হত্য শিক্ষা, প্রসূতি শিক্ষা ও হাইজিন বা স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন কেন্দ্রিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৪. চট্টগ্রাম ও দুই পার্বত্য জেলার সংযোগ স্থল বা নাভী হিসেবে পরিচিত চন্দ্রঘোনা দোভাষি বাজারকে পৌরসভায় উন্নীত করণ এবং এই কেন্দ্রিক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার লিডার হিসেবে চলমান বেসরকারি ব্যবস্থাপনাকে আরও টেকসই ও উন্নতকরণে সহায়তা করা।

১৫. উপজেলা কেন্দ্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্টান গুলোকে তদারকির জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গাইডেন্সে এনে পাঠদান পদ্ধতি উন্নতকরণের প্রচেষ্টা চালানো।

১৬. বিধবা, গরীব, ছিন্নমূল ও প্রান্তীক জনগোষ্ঠির তালিকা তৈরি করে তাদেরকে বিশেষ ভাতা প্রদান ও এনজিও ভিত্তিক সহায়তা প্রদান।

১৭. সরকারি ও বেসরকারি লেবেলে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ এবং এলাকা ভিত্তিক চাঁদাবাজি বন্ধে গণসচেতনতা তৈরি ও গণ প্রতিরোধ তৈরি করা।

১৮. উপজেলার মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়ানোর জন্য কমিউনিটি ডায়লগ ও গণসংযোগ বাড়ানো।

১৯. জাতি ধর্ম নির্বিশেষ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়তা প্রদান।

২০. উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও সামাজিক সুস্থতার জন্য ভূমিকা রাখা।

উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন আজাদ, উপজেলা জামায়াতের নায়েব আমির মাওলানা শওকত হোসাইন, মাস্টার কামাল উদ্দীন, মাওলানা ইসমাইল, রাশেদুল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম, মো. কুতুবউদ্দিন, সরোয়ার হোসাইন, মহিউদ্দিন বাবু ও মাস্টার হোসাইন উদ্দিন প্রমুখ।

Link copied!