শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ    

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জমি বিক্রির অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ    

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জমি বিক্রির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশে

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জমি বিক্রির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশে

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও মাদ্রাসার জমি বিক্রির অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে নান্দাইল পৌরশহরের জলসিঁড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত একটি অটো শো-রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর এলাকাবাসী মাদ্রাসার সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবি জানিয়ে নানা ধরনের স্লোগান দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি মো. আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, আবদুল হাই এই মাদ্রাসায় যোগদানের সময় তার যোগ্যতার ঘাটতি ছিল। তারপরও অনিবন্ধিত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি মাদ্রাসায় দুর্নীতি করেছেন। মাদ্রাসার নিজস্ব জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নানা জায়গায় অনৈতিক সুবিধা দিয়ে মাদ্রাসায় বছরের পর বছর নীতিমালাবহির্ভূত কাজ করে গেছেন।

আবদুল হান্নান আরও বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা মাদ্রাসায় জমি দান করেছেন। কিন্তু তিনি সেই জমি অন্যায়ভাবে বিক্রি করে সেই অর্থ লোপাট করে গেছেন। সাবেক সভাপতি শরাফ উদ্দিন ভূঁইয়ার মৃত্যুর পরও তার স্বাক্ষর জাল করে আবদুল হাই মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন অভিযোগ করেন পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি আবদুল হান্নান। এসব দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবি করেন তিনি।

পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি আবদুল হান্নান আরও বলেন, করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অধ্যক্ষ ওই সময় নানা খাত দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন। যা লুটপাট ছাড়া আর কিছুই নয়। সাংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার খান ফয়সল, সাবেক সদস্য আবদুল খালেক।

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. আবদুল হাই বলেন, এসব পুরনো অভিযোগ। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছে। ওই তদন্তে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির চিঠি তার কাছে রয়েছে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ আরও বলেন, মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার কিছু লোক তাদের স্বজনদের অত্র প্রতিষ্ঠানে নানা পদে নিয়োগ দিতে চাইছেন। কিন্তু চাইলে তো হবে না। স্বচ্ছতার সাথে নীতিমালা মেনে নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্যায় কাজ আমার দ্বারা সম্ভব হবে না। এটা বুঝতে পেরে কিছু লোক পুরনো অভিযোগসমূহ সামনে আনছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!