শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

এভারকেয়ারে হাদি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলো ওসমান হাদিকে। ছবি: সংগৃহীত

এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলো ওসমান হাদিকে। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৫ মিনিটে হাদিকে বহনকারী আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি এভারকেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, হাদির ডান দিক দিয়ে গুলি ঢুকে বাম কানের পাশ দিয়ে বেরিয়েছে, তবে কিছু অংশ মস্তিষ্কে আটকে আছে। তিনি আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ হাদির নিউরো বিশেষজ্ঞরা অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেছেন।

অস্ত্রোপচারের আগে হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়। সেখানে দেখা যায়, গুলির ছোট ছোট ধাতব অংশ (প্রিলেট) মস্তিষ্কের মধ্যে রয়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের সময় একাধিক প্রিলেট বের করা হয়েছে। কিছু অংশ এখনও মস্তিষ্কের মধ্যে রয়েছে, যা রোগীর মস্তিষ্কের প্রেসার বৃদ্ধি ও রক্তক্ষরণের জন্য দায়ী ছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অস্ত্রোপচার সফলভাবে শেষ হওয়ার পরে হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে তাকে উন্নত পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বেলা ২টা ২৫ মিনিটে দুটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে। তারা হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার সময় হাদির পেছনের রিকশায় ছিলেন তার সহযোগী মো. রাফি। রাফি বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা হাইকোর্টের দিকে আসছিলাম। বিজয়নগরে আসতেই দুটি মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে হাদি ভাইয়ের ওপর গুলি ছুড়ে চলে যায়। আমি ভাইয়ের পেছনের রিকশায় ছিলাম।’

ঘটনার পর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অবিলম্বে এই ঘটনার দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যেন হামলায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
 

Link copied!