নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর–বদলগাছী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন মহাদেবপুর থানা বিএনপির সদস্য পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির সমর্থকরা।
শনিবার (৮ নভেম্বর) মহাদেবপুর উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে কয়েক হাজার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে লিচুবাগান থেকে শিবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায় মহাদেবপুর-নওগাঁ সড়ক, ফলে সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে নওগাঁ-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে ফজলে হুদা বাবুলকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির সমর্থকরা।
তাদের অভিযোগ, যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে এলাকার মানুষের কোনো যোগাযোগ নেই। এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে বিএনপি আসনটি হারাবে।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বক মোড়ে জনির বাসভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হন।
কর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, ‘এই মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত নয়। আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র চলছিল, যা এখনো চলমান। কিন্তু জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পরও মহাদেবপুর-বদলগাছীর জনগণ আজও আমাদের ভালোবাসে, তা এই মানববন্ধনই প্রমাণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, চূড়ান্ত তালিকায় মহাদেবপুর-বদলগাছী এলাকার জনগণের জয় হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষে আস্থা রাখুন, ইনশাআল্লাহ জয় হবে জনগণের।’
১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা চারবার ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েছিলেন মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু। তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এলাকায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
তার মৃত্যুর পর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোট পান। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে মাত্র তিন ঘণ্টায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন জনি, যা বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট বলে দাবি করেন তার সমর্থকেরা।
তারা অভিযোগ করেন, এবার যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনভিজ্ঞ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই মনোনয়ন বাতিল করে যোগ্য প্রার্থী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনিকে পুনরায় প্রার্থী ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন