নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুড়া ইউনিয়নের উত্তর লেংগুড়া গ্রামের ৭৭ বছর বয়সি বিমলা হাজং এক নিঃসঙ্গ ও মানবেতর জীবনের সাক্ষী। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি একা। স্বামী, সন্তান বা আপনজন বলতে কেউ নেই তার।
কয়েক বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকেই তার জীবন হয়ে উঠেছে গভীর দুঃসহ সংগ্রাম। প্রতিদিন কখনো একবেলা, কখনো না খেয়ে দিন কাটছে। বিমলা হাজং ঘরের ভেতর নিঃসঙ্গভাবে পড়ে থাকেন। কখনো স্থানীয়রা দয়া করে কিছু খাবার দিয়ে যান, তাতেই কাটে তার দিন। হাটে যাওয়া সম্ভব নয়, হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করতে হয় তাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট একটি ঝোঁপের মতো ঘরে বসবাস করছেন তিনি। ঘরের চারপাশে জরাজীর্ণ অবকাঠামো এবং মশা-মাছির ভিড় বিরাজ করছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দিন কাটে তার।
বিমলা হাজং-এর ফুফাতো ভাই দেবেন হাজং বলেন, ‘বিমলা আমার পিসাতো বোন, তার আপন বলতে কেউ নেই। আমার পক্ষে যা সম্ভব করি, কিন্তু আমি নিজেও বৃদ্ধ হয়ে গেছি। তার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
প্রতিবেশী লিপি হাজং বলেন, ‘বিমলার জীবন অনেক কষ্টের। সে একাই পড়ে থাকে, তাকে দেখার কেউ নেই। বেশির ভাগ সময় না খেয়ে থাকে।’
বিমলা হাজং বয়সের ভারে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। কেবল বলতে পারেন, ‘আমার কষ্ট হচ্ছে, ঔষধ খাব, ভাত খাব।’
অসহায় বৃদ্ধা বিমলা হাজং-এর চাওয়া খুব সাধারণ—একটু সহানুভূতি ও সাহায্যের হাত। মানবতার জয়গানে হয়তো তারও জায়গা হতে পারে, যদি কেউ এগিয়ে আসে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন