বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

মাঠ ভরা আমন ধান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মাঠ ভরা আমন ধান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় নরসিংদীতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন ধানের ফলন হয়েছে। গুণগত মান বিবেচনায় এবার বাম্পার ফলন পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষকেরা ব্যাপক আনন্দ-উৎসাহ নিয়ে আধুনিক যন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার) ব্যবহার করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ভালো খড় পাওয়ার আশায় প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ কৃষক হাতে ধান কেটে মাড়াই করছেন।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাধানগর, লোচনপুর, মনোহরদীর চর ও বেলাবো এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের সমারোহ। অগ্রহায়ণের বাতাসে দুলছে পাকা ধানের শীষ, যা দেখে কৃষকেরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত।

সরকারের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্বুদ্ধকরণে এ বছর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫ মেট্রিক টন।

মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কৃষকেরা কাস্তের পাশাপাশি কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াই করছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ১৮-২০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। মাঠজুড়ে পাকা ধানের আভা। স্বল্প সময়ের মধ্যেই পুরো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।

এদিকে অনেক কৃষক স্বল্প সময়ে আমন ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে সরিষা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে দেখা গেছে। যদিও আমনের ভালো ফলনে কৃষকেরা খুশি, তবে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষক আমিনুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়া এবং মাঝেমধ্যে আমন চাষ উপযোগী বৃষ্টি হওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফলন ভালো হয়েছে। তবে ধান বিক্রি করে খরচ তুলে লাভ হবে কি না, সেটাই তাদের বড় চিন্তা।

কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তাঁর এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ২০-২১ মণ ধান পেয়েছেন। রায়পুরা উপজেলার নয়াহাটির কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ধানের পচন রোগ ও ইঁদুরের আক্রমণে কিছুটা ভোগান্তি থাকলেও সামগ্রিকভাবে এ বছর আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের গুণগত মানও অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো।

এ বিষয়ে নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সালাউদ্দিন টিপু বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়া এবং সরকারের সার্বিক সহায়তায় এ বছর ধানের ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবছরই কৃষকেরা ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তাই ধান ভালোভাবে শুকিয়ে নিরাপদে সংরক্ষণ করে পরে দাম বাড়লে বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর নরসিংদী জেলায় রোপা আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪০ হাজার ৯৪১ মেট্রিক টন চাল। বাস্তবে উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন চাল।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!