বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

টুঙ্গিপাড়ায় দুই গ্রাম পুলিশকে পেটালেন বিএনপি নেতা

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাদক কারবারি আটকের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় দুই গ্রাম পুলিশকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের জোয়ারিয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) রাতে এঘটনায় বিএনপি নেতাকে প্রধান আসামি করে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও সাতজনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মোসলেম আলী।

আসামিরা হলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈ, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন বাইন, হৃদয় তালুকদার ভোলা ও অয়ন বাইন।

মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে পাটগাতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ কৃপা মন্ডল ও সুরজিত ঘরামী বিশেষ কাজে গোপালপুর যায়। ফেরার পথে তারা থানার এসআই মোসলেম আলীকে জানায় জোয়ারিয়া এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা চলছে। তখন থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক কারবারি বিজন বিশ্বাসকে ১৪ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। ঘটনাস্থলে থাকা অন্য তিনজন মাদক কারবারি দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন আটক বিজনকে নিয়ে থানায় রওনা দিলে গ্রাম পুলিশ দুজন পুলিশের পেছনে আসে। কিছুদূর যাওয়ার পর বিএনপি নেতা জীবেশ বাড়ৈর নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক দুই গ্রাম পুলিশের গতিরোধ করে। তখন পুলিশকে মাদকের খবর দিয়ে বিজনকে কেন গ্রেপ্তার করালো বলে বকাঝকা ও গাছের ডাল দিয়ে পেটাতে শুরু করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হলে গ্রাম পুলিশ দুজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। ঘটনার পর থেকে গ্রাম পুলিশ কৃপা ও সুরজিত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আর আটক মাদক কারবারি বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদাভাবে মামলা করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আহত দুজন গ্রাম পুলিশ কৃপা ও সুরজিত বলেন, পুলিশ মাদক কারবারি বিজনকে আটক করে থানায় রওনা দেয়। আমরা পুলিশের পেছনে গেলে হঠাৎ বিএনপি নেতা কিছু লোকজন নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে। তারপর বিজনকে কেন পুলিশে ধরিয়ে দিলাম বলে বকাঝকা ও পেটানো শুরু করে। আমরা তাদের বিচার চাই।

গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জীবেশ বাড়ৈ গ্রাম পুলিশদের পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রাম পুলিশ দুজন পাটগাতী থেকে এসে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিজন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। তখন তাদের পরিচয় জানার পর সাথে থাকা লোকজন কিছু বকা দিয়েছে কিন্তু তাদের পেটানো হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই গ্রাম পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় বুধবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে বাকি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!