শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:৩৩ এএম

কিশোরগঞ্জে ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:৩৩ এএম

আহতের খোঁজ খবর নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ

আহতের খোঁজ খবর নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

স্থানীয়দের ভাষ্য, সিংগারা, পুরি ও রুটি ভাজির দোকান চালান লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের জহির মিয়া। প্রতিদিনের মতো তিনি সকাল ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তবে সেদিন গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যান তিনি। বন্ধ দোকানের ভেতর দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আগুনের উৎস পাওয়া মাত্রই পুরো দোকান আগুন লেগে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দোকানের চারপাশে থাকা মানুষ ঝলসে যান। দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়া পথচারী ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এতে দগ্ধ হয়।

আহতদের অবস্থা

দগ্ধ ১৫ জনকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকেরা অতি সংকটজনক অবস্থায় থাকা ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

দগ্ধদের একজন হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে, তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধদের পরিচয়

আহতের মধ্যে রয়েছেন—নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।

প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজনকে আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানলাম, গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ‘১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী এসেছেন। একজনের ৮০ শতাংশ দগ্ধ। ১২ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ জানান, আহতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!